দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাঘের অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে বন্য পরিবেশে বিচরণ করা বাঘ হারিয়েই গেছে। সেখানে থাইল্যান্ডের একটি অরণ্য অঞ্চল একেবারেই ব্যতিক্রম। ওয়েস্টার্ন ফরেস্ট কমপ্লেক্স (ওয়েফকম) নামের ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই এলাকায় ১৬ বছরে বাঘের সংখ্যা তিন গুণ হয়ে গে
একটি কুপির আলোয় পুরো ঘর আলোকিত হয়নি। তারপর আবার হালকা বাতাসের ঝাপটায় কেঁপে কেঁপে উঠছে আলো। তাতে নানির চেহারাটা আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে। পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে মুখের ভাঁজগুলো আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে যেন। তাঁর কিশোরী কিংবা তরুণী বয়সের গল্প। তন্ময় হয়ে শুনছি আমরা কয়জন। সাত থেকে চৌদ্দর মধ্যে বয়স সবার।
দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ ভারত আর ভুটানে বুনো পরিবেশে বিচরণ করা বাঘের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেড়েছে। বাঘের সংখ্যার যে নতুন পরিসংখ্যান দেশ দুটি আলাদাভাবে প্রকাশ করেছে, তার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ভারতের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশটিতে বর্তমানে ৩ হাজার ৬৮২টি বন্য বাঘ আছ
আমাদের দেশের কোন বনে বাঘ আছে জিজ্ঞেস করলে নিঃসন্দেহে সুন্দরবনের নামই বলবেন। অথচ একসময় বাংলাদেশের বহু অরণ্যেই বাঘ ছিল। তবে অনেকেই জানেন না এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো কোনো জঙ্গলে বাঘ দেখার কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আসলেই কি এখনো আমাদের পাহাড়ের বনে বিচরণ করছে বাঘেরা? সে উত্তরই খোঁজার চেষ্টা করেছ
চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে বাঘ দেখা যায় অনায়াসেই। তবে জঙ্গলে বাঘকে তার নিজের পরিবেশে দেখার যে আনন্দ কিংবা রোমাঞ্চ, তার কোনো তুলনা নেই। বাঘ দিবসে পৃথিবীর এমন কিছু জঙ্গলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যেখানে ভাগ্য ভালো থাকলে বুনো পরিবেশে রাজকীয় এই প্রাণীটির দেখা পেয়ে যেতে পারেন। অবশ্য এখানে বলে রাখা ভালো,
বাঘ রাজকীয় এক প্রাণী। বনের ভেতরে বাঘ দেখার রোমাঞ্চের কোনো তুলনা হয় না। বাঘের কারণেই বন্যপ্রাণীপ্রেমীসহ সবার কাছে সুন্দরবনের এত আকর্ষণ। কিন্তু এখন যদি কেউ আপনাকে প্রশ্ন করে বাঘ আমাদের জন্য দরকারি কেন কিংবা আমরা বাঘ রক্ষা করব কেন, তাহলে কী উত্তর দেবেন?
সুন্দরবনে বাঘের দেখা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। বাঘের দেখার জন্য অসংখ্যবার সুন্দরবনে গিয়েও অনেক পর্যটক, বন্যপ্রাণীপ্রেমী বাঘের দেখা পাননি। তেমনি নিয়ম করে প্রতিবছর সুন্দরবনে যাওয়া অনেক বাওয়ালি কিংবা মৌয়ালও এর দেখা পাননি। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মন
সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ে চলছে জরিপ। সাত মাস ধরে চলা এই জরিপের প্রাথমিক তথ্য থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, বনে বাঘ বাড়ছে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল পেতে জরিপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।